Recents in Beach

নেগেটিভ চিন্তা দূর করার সহজতম উপায় । কিভাবে একজন Positive Person হয়ে উঠবেন। The Magic of Thinking Big

 আজকের দিনে সব জায়গায় নেগেটিভিটি ছড়াছড়ি ।খবরে খুনের ঘটনা থেকে শুরু করে টিভি বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন। এসব দেখে মনে হয় আমি কত মোটা আর বাজে দেখতে। কিন্তু শুধু মিডিয়ায় যে শুধু নেগেটিভিটি ছড়ায় এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের চারপাশের অনেক কাছের মানুষ যেন এরকম পারবে না শুধু বেকার খাটনি করুনা নামে এক প্রোপাগান্ডা ছাড়া। এক্সাম্পল আপনার সব থেকে ভালো বন্ধুটিও হয়তো আপনার বড় একটা কোম্পানির প্রেসিডেন্সি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আপনাকে ট্রল করতে পারে।

এক সময় আমরা তো নেগেটিভ থিংকিং এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়ি যে ওটাই আমাদের কাছে নরমাল মনে হতে থাকে। আমাদের নেগেটিভ থর্টস গুলো এক ধরনের দৈত্যের মতো। আমরা যতই এদেরকে আমাদের মাথার ভেতরে জায়গা করে দেব এটা ততই শক্তিশালী হতে থাকবে। যতক্ষণ আমাদের পজিটিভ থিংকিং এবিলিটি কে এরা একদম ছাড়িয়ে না যাচ্ছে। কিন্তু সত্যি কথা হলো নেগেটিভ থিংকিং কখনোই কোন নরমাল বা সুস্থ আচরণ নয়।

ইনফ্যাক্ট কোন মানুষকে সাকসেসফুল হতে না দেওয়ার পেছনে এটি সবথেকে বড় কারন গুলোর একটি। এজন্য যারাই বলে এটা অসম্ভব তাদের প্রায় সকলেই আনসাকসেস ফুল থেকে যায় আর না হয় এবারেজ জীবন যাপন করে। পরিষ্কার ভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এই নেগেটিভিটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।তো এমনটা করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে প্রতিদিন পজিটিভ চিন্তা করতে শুরু করতে হবে এতে করে আপনার মস্তিষ্কের নেগেটিভ থর্টস আশার কোন স্পেইস থাকবে না।

ফলে নেগেটিভিটি দূর করা সহজ হবে আর পজিটিভ থিংকিং এর জন্য বেস্ট উপায় হলো নিজের জন্য একটা প্যাডটোপ তৈরি করা যেখানে বিজ্ঞাপনের মত করে লেখা থাকবে নিজেকে নিজের কাছে বিক্রি করার জন্য কোন বিজ্ঞাপন যেটা আপনাকে আপনার নিজের সব ধরনের ভালো গুণগুলো সম্বন্ধে কন্টিনিউয়াসলি মনে করাতে থাকবে এবং আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কিভাবে আপনি অন্যদের থেকে আলাদা।

দিনে অন্তত একবার এই বিজ্ঞাপনটা একা জোরে জোরে নিজেকে পড়ে শোনাবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনি নিজের উপর এতটা বিশ্বাস আনতে সক্ষম হবেন যে বাইরের জগতের নেগেটিভিটি আপনাকে এমন ভাবে পাশ কাটিয়ে যেমনটা ছাতা আপনাকে বৃষ্টি থেকে বাঁচায়।

এক্সাম্পল যদি আপনি কোন টিচার হয়ে থাকেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আপনি হাসাতে পারেন তাহলে মনে রাখবেন এই হাসানোর ক্ষমতাটাই আপনাকে অন্য টিচারদের থেকে আলাদা করে আপনার এই বিশেষ গুণটার কারণেই আপনি নিজেকে একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হিসেবে দেখতে পারেন। এতে করে আপনার কনফিডেন্স বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতিদিন কাজে আপনার নিজের বেস্টটা দিতে সাহায্য করবে। Smart Idea 1: Practice Positive Thinking Every Day

কখনো আপনার কোনো কলিং কিংবা বন্ধু কি আপনার সাথে কোনো কারণ ছাড়াই খারাপ আচরণ করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ফাস্ট রিয়াকশনটা হবে তার নামের পাশে রঙ্গচটা কিংবা ক্ষ্যাপা এমন একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া। যে বিষয়টা এক্ষেত্রে আপনার নজর এড়িয়ে যাচ্ছে সেটা হলো সেও কিন্তু আপনার মতই একজন মানুষ এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনার সাথে তার খারাপ আচরণটা কারণ হয়তো আপনি না বরং তার পার্সোনাল লাইফের কোন প্রবলেম।

এটা জানার পর আপনার তার সাথে এরকম ব্যবহার করা উচিত যেমনটা আপনি নিজে অন্যদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে। আপনি যদি আপনার পরিচিত সবাইকে এই ভাবে ট্রিট করেন এবং তাদেরকে এটা বুঝতে দেন যে তাদেরকে আপনি Important ভাবছেন তাহলে দেখবেন তারাও আপনাকে খারাপ ভাবে ডিলিট করা বাদ দিয়ে আপনাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করবে এবং আপনাকেও আপনার মত করেই ট্রিট করতে শুরু করবে।

আপনার সাফল্যের পথে এই মানুষগুলোই আপনার পাশে থাকার দরকার পড়বে। আর আপনিও খেয়াল করে দেখবেন তাদের সাপোর্টটা আসলেই আপনার জন্য কতটা জরুরি। কেন কারনে এমনটা খুবই রেয়ার যে একজন একা মানুষ কোনরকম সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র একাই কোন হায়ার লেভেলের জব কিংবা পজিশনে পৌঁছাতে পেরেছে। আরও সহজভাবে বলে আপনার equal আর Subordinate রা আপনাকে টেনে হোক বা ঠেলে উপরে উঠতে সব থেকে বেশি সাহায্য করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ।Linden jonson সাফল্যের জন্য তার নিজের তৈরি Ten Point Formula ব্যবহার করতেন। এর মধ্যে একটা ছিল প্রত্যেকের নাম মুখস্ত করে ফেলা এবং সঠিক সময়ে তাদের বিভিন্ন ইভেন্টের কারণে তাদেরকে কংগ্রাচুলেট করা।দিন শেষে কেউ একা একা সাকসেসফুল হয়না। তাই আপনার পরিচিতদের সাথে প্রত্যেকটা এনকাউন্টারে তাদেরকে এমন ভাবে টুইট করুন যেন সেটার ওপর এই আপনার ক্যারিয়ারের up এবং down নির্ভরশীল। Smart Idea 2: Treat Everyone With Respect

You are what you eat কথাটা নিশ্চয়ই আপনি আগে শুনে থাকবেন। এর মানে যদি আপনি একটা হেলদি বডি চান তো আপনাকে সব সময় একটা হেলদি ডায়েট মেইনটেইন হতে হবে। এই সেইম কনসেপ্টটা আপনার মেন্টালিটি বেলাতেও আসে। আপনি কিভাবে চিন্তা করেন তার সবই আসে আপনি কি দেখতে বা শুনতে অভ্যস্ত তা থেকে। আপনার থাকার জায়গা আপনার বন্ধু-বান্ধব আপনি কি করছেন এর সবকিছুই আপনার Mind Food এর ভূমিকা পালন করে এবং আপনার চিন্তা করার প্রসেস এর উপর প্রভাব ফেলে।

ফর এক্সাম্প্লে: গল্প বাজ লোকেদের সাথে অনেকদিন চলাফেরা করলে আপনিও গল্পবাজ হয়ে উঠবেন। একইভাবে এমন লোক যারা শুধু অন্য দেশ সম্বন্ধে পজেটিভ কথাবার্তা বলতে অভ্যস্ত তাদের সাথে থাকলে আপনিও তাদের মতই হয়ে উঠবেন। সাকসেসফুল হতে হলে সাকসেসফুল লোকেরা যা করে আপনাকে তাই করতে হবে। নিজের জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আপনার বাড়ি, পড়ার জায়গা ওয়ার্কপ্লেস, অবসর এই সবগুলো পরিবেশ খুবই হাই কোয়ালিটির হয়। অর্থাৎ আপনাকে একজন আলাদা ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে যেন প্রেরণা দেয়।

এরকমটা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আপনি সাকসেসফুল ব্যক্তিদের ফলো করতে পারেন। যেভাবে আপনি এটা করতে পারেন তার একটা উপায় হলো আপনার থাকার জায়গার পরিবেশ এমন ভাবে তৈরি করে ফেলা যাতে সেখান থেকে আপনি সব সময় এক ধরনের পজিটিভিটি পেতে থাকেন।আরেকটা উপায় হলো আপনি সবসময় অন্যান্য সাকসেসফুল ব্যক্তিদের মাঝে থাকার চেষ্টা করুন। আর তাদেরকে স্টাডি করুন।

যখনই মাথায় কোন ধরনের প্রশ্ন আসবে কিংবা কোন এডভাইস এর দরকার পড়বে তখন অবশ্যই এমন কাউকে জিজ্ঞেস করুন যে অলরেডি আপনি যেখানে পৌঁছাতে চান সেখানে পৌঁছে গেছে। আর অবশ্যই সব সময় ভালো বন্ধুদের মাঝে থাকার চেষ্টা করবেন। যারা শুধু নিজেদের এম্বিশন নিয়ে ব্যস্ত না বরং আপনার এম্বিশনে যারা বিশ্বাস করে এবং আপনি যে কিপএবল এমনটা বিশ্বাস করে। এই সাপোর্ট সিস্টেমটা সবসময় আপনার পাশে থাকলে সফলতা লম্বা দৌড়ে আপনি সবসময় মোটিভেটেড থাকবেন।

সবশেষে আপনি যদি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে চান এবং সাকসেসফুল হতে চান এটা নিশ্চিত করুন যে আপনি একটা সুন্দর পরিবেশের মাঝে বাস করছেন এই পরিবেশটা আপনার লাইফে রুলস গুলো কে সাপোর্ট করে। Smart Idea 3: Your Environment Must Support Your Goals আমি আইডিয়াগুলো পেয়েছি David J.Schwaatz লেখা The Magic Of Thinking Big বইটি থেকে।


Post a Comment

0 Comments